• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৬:০১:৪৪ (16-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: মিয়া গোলাম পরওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেছেন, সরকারের তিন উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোট প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করছেন। এই ‘মিসগাইডিং’ ভূমিকার কারণেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হচ্ছে না বলে আট দল মনে করছে। আর সেই কারণেই জোট ঘোষণা দিয়েছে—প্রতিশ্রুত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাওয়া না পর্যন্ত রাজপথের কর্মসূচি চলবে।তিনি বলেন, সব কথা ফরমালি বলা যায় না। প্রয়োজন হলে সময়মতো আমরা তিন বিতর্কিত উপদেষ্টার নামও বলব। আমাদের কাছে তথ্য–প্রমাণ আছে।১৬ নভেম্বর রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।গোলাম পরওয়ার জানান, সরকারকে এখনই সজাগ হতে হবে, নইলে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনের বহু জায়গায় এখনো দলীয় পক্ষপাত চলছে। এর সঙ্গে তিন উপদেষ্টার প্রভাব–প্রতিপত্তি মিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।আট দলীয় জোটের মতো, এই অবস্থায় নির্বাচন অবাধ–সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, তার দায় সরকারের।মিয়া গোলাম পরওয়ার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চাই বলেই আমরা মাঠে আছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না এলে আমাদের কর্মসূচি থাকবে।জামায়াতের এই নেতা আরও জানান, আমাদের মূল দাবি তিনটি এখনো অপূর্ণ— লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি, ফ্যাসিবাদের দোষীদের বিচার হয়নি এবং প্রশাসনে দলীয় পক্ষপাত রয়ে গেছে। এসব ইস্যুতে আট দলীয় জোটের স্টিয়ারিং কমিটি পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করে ঘোষণা দেবে।জোটের নেতারা মনে করেন, আন্দোলন নির্বাচনে কোনো বিঘ্ন ঘটাবে না, বরং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার পথ আরও পরিষ্কার করবে।এদিকে নির্বাচন ঘিরে অভিযোগের মধ্যেও গণভোট ইস্যুতে নিজস্ব অবস্থানে অনড় অবস্থানের কথা জানান তারা। এমনকি সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও মৌলিক সংস্কারের পক্ষে তারা ‘হা’ ভোট চেয়েছেন।মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কমিশনের যে মূল সংস্কারগুলো আছে, সেগুলোর পক্ষে আমরা শুরু থেকে আছি। এগুলো ভোটারদের সামনে সহজ ভাষায় তুলে ধরতে হবে।তার দাবি, প্রচারপত্র, জাতীয় প্রচারমাধ্যম ও ওপেন কমিউনিকেশনের মাধ্যমে সরকার–ইসি স্পষ্ট করে বলুক—এই সংস্কারগুলো কেন জরুরি। না হলে জনগণের বড় অংশ বিষয়টি বুঝতে পারবে না।