হাজার কোটি টাকার মালিকেরা এখন দৌড়ে বেড়াচ্ছেন: অর্থ উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: হাজার কোটি টাকার মালিকেরা এখন দৌড়ে বেড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কেবল পড়াশোনা নয়, সততা চর্চা করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই সঠিক শিক্ষা নিয়ে গড়ে উঠতে হবে।২০ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকার নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও ছাত্রবৃত্তি প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‘ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির ভূমি’ হিসেবে পরিচিত। আজকের অনুষ্ঠান সেই মর্যাদাই পুনরায় দৃঢ় করলো। শিক্ষায় বিনিয়োগ মানে শুধু শিক্ষার্থীকে সহায়তা করা নয়, বরং জাতির ভবিষ্যৎ গঠন করা। ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ঐক্য ও জ্ঞানের পথে এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন চিকিৎসকরা ঢাকার বাইরে যেতে চান না। অদূর কেরানীগঞ্জ থেকেও রাজধানীতে আসার জন্য তদবির আসে।ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখনো অনুন্নত জেলা। এর উন্নয়নে জেলার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসতে হবে।এসময় জেলা সমিতিগুলোকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে কালেকটিভ স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা। নিজেদের মধ্যে মারামারি বন্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবাইকে সচেতন হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি এম এ খালেক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া দীর্ঘদিন ধরে দেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, শিক্ষাবিদ ও শিল্পী উপহার দিয়ে আসছে। আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করছি- ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তার মেধা ও অবদানের জন্যই চিনবে সবাই, কোনো নেতিবাচক ধারণার জন্য নয়। এই বৃত্তি এবং নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী হিসেবে নাগরিক গৌরবের বীজ রোপণ করছি, যা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।স্বাগত বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক মো. খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আজকের এ সমাবেশ কেবল উদযাপন নয়, বরং একটি নতুন আন্দোলনের সূচনা। আমরা একটি আন্দোলনের সূচনা করছি। বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার আন্দোলন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়নে আমাদের সাফল্য সবাইকে জানাবো। এই অনুষ্ঠান স্মরণীয় করে তোলার জন্য দাতা, স্বেচ্ছাসেবক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।অনুষ্ঠানে উচ্চশিক্ষায় কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ৩১২টি বৃত্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনার্স স্তরে ২৫টি, এইচএসসি স্তরে ১৮২টি এবং এসএসসি স্তরে ১০৫টি বৃত্তি দেওয়া হয়। এসব বৃত্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষায় উৎকর্ষ অর্জনে অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।