প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবন জেলেকা বেগমের
সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে চরম দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বে দিন কাটছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী বিধবা জেলেকা বেগমের। জরাজীর্ণ ও ভাঙাচোরা একটি ঘরে অসুস্থ প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলছে তার জীবন। অর্থের অভাবে সন্তানটির চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তিনি।জানা যায়, জেলেকা বেগমের পরিবারে মোট ছয়জন সদস্য। একসময় পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতেন তার স্বামী। তবে প্রায় পাঁচ বছর আগে চিকিৎসার অভাবে স্বামীর মৃত্যু হলে পরিবারের সব দায়িত্ব এসে পড়ে বড় ছেলের কাঁধে। বড় ছেলে ভ্যান চালিয়ে সামান্য আয় করলেও তা দিয়ে পরিবারের মৌলিক চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনাহার–অর্ধাহারে দিন কাটছে পুরো পরিবারের।চরম কষ্টের মধ্যেও প্রতিবন্ধী সন্তান ফারুককে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বৃদ্ধা জেলেকা বেগম। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও প্রতিদিন নিজ হাতে ছেলেকে খাওয়ানো, গোসল করানোসহ যাবতীয় দেখভাল করেন তিনি। তবে দিন দিন ফারুকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। পরিবারের সদস্যদের মতে পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা পেলে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হতে পারে।জেলেকা বেগম বলেন, তার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হলো তিনি মারা গেলে প্রতিবন্ধী ছেলেটির দেখাশোনা কে করবে, কে তাকে খাওয়াবে। বেঁচে থাকতে তিনি চান সমাজ ও সরকারের সহযোগিতায় অন্তত একটু স্বচ্ছলভাবে জীবন কাটাতে। এ জন্য সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাজী শামীম আহমেদ বলেন, প্রতিবন্ধী ফারুক বর্তমানে মাসিক ৮৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। পাশাপাশি তার চিকিৎসা ভাতা সংক্রান্ত বিষয়েও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।অসহায় পরিবারটিকে সাহায্য পাঠানোর মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বার:01759365760 (পার্সোনাল বিকাশ, ফারুকের মা জেলেকা বেগম)