দেশের স্বার্থের ক্ষতি করে কাউকে বন্দর পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দেশের স্বার্থের ক্ষতি করে কাউকে বন্দর পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।১০ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের স্বার্থের ক্ষতি করে কাউকে বন্দর অপারেশন করতে দেওয়া হবে না। উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বেশিরভাগ বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে থাকে— আমরাও সেই পথেই এগোচ্ছি।’বন্দরের ট্যারিফ বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৮৪ সালের ট্যারিফ অনুযায়ী গত ৪০ বছর ধরে বন্দর পরিচালিত হয়েছে। এখন বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তা হালনাগাদ করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবুও অভিযোগ আসায় বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে।’উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘লালদিয়া টার্মিনাল ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করবে। এতে বন্দরের ধারণক্ষমতা আরও বাড়বে এবং কার্গো হ্যান্ডলিং সহজ হবে। টার্মিনালটি চালু হলে প্রায় ১০ হাজার কনটেইনার রাখার সুবিধা পাওয়া যাবে।’অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪ একর জমিতে নির্মিত লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালের ধারণক্ষমতা ১০ হাজার কনটেইনার এবং ১ হাজার ৫০০ ট্রাক রাখার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ৮ একর জায়গায় থাকবে হেভি লিফট কার্গো জেটি ব্যাকআপ ও ১০ একর জায়গাজুড়ে থাকবে এপিএম টার্মিনাল এলাকা।উদ্বোধন শেষে উপদেষ্টা বে টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল, তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড (ইস্ট কলোনি সংলগ্ন) উদ্বোধন করেন এবং এক্সওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরিদর্শন করেন।বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ ও পোর্ট চার্জ সংক্রান্ত সভায় উপদেষ্টার অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তা পরবর্তীতে স্থগিত করা হয়।বন্দর সম্পর্কিত বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবেন— কিন্তু ন্যায্য ট্যারিফ নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৮৪ সালের হারে বন্দর পরিচালনা করা সম্ভব নয়। বিদেশে বন্দরের কার্যক্রম এখন অটোমেটিকভাবে চলে, কিন্তু আমরা এখনো জনবল নির্ভরভাবে পরিচালনা করছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্যারিফ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’