নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ট্রাক চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও আরোহীসহ ৬জন নিহত ঘটনায় ট্রাক চালক আব্দুর জাহেরকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ।
৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চিশতিয়া দরবার শরীফের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে, একই দিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার কবিরহাট টু বসুরহাট সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আটক আব্দুর জাহের লক্ষীপুর জেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরশিতা গ্রামের তিতা মিয়া পন্ডিত বাড়ির মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে।
নিহতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অটোরিকশা চালক খোরশেদ আলম খোকন, নোয়াখালী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানিম হাসান ও ছাত্রী ইসরাত জাহান, বিবি কুলসুম, জান্নাত ও মো. সুমন।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহর মাইজদী থেকে ৫জন যাত্রী নিয়ে বসুরহাটের উদ্দেশ্যে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে সিএনজিটি উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরহাট টু বসুরহাট সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনে পৌঁছলে সিএনজির সামনের এক্সেল ভেঙ্গে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের উল্টো পাশে চলে যায়। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক যাত্রীবাহী সিএনজিকে চাপা দিয়ে মুখে করে অন্তত ২০০ মিটার টেনে হিঁছড়ে নিয়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন যাত্রী ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে ২জনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। দুর্ঘটনার প্রায় সোয়া ২ ঘন্টা পর অভিযুক্ত ট্রাক চালককে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চিশতিয়া দরবার শরীফের সামনে থেকে তাকে আটক করে কবিরহাট থানার পুলিশ।
কবিরহাট থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, ট্রাক চালককে আটক করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে। চারটি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। অপর দুটি মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available