সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডসে স্বীকৃতি পেলেন দেশের ২৪ জন শীর্ষ নির্বাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের করপোরেট অঙ্গনের ২৪ জন শীর্ষস্থানীয় নির্বাহীকে সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে শুরু হলো সি–স্যুট অ্যাওয়ার্ডস-এর চতুর্থ অধিবেশন।২২ নভেম্বর শনিবার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি–এর পরিবেশনায়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি–বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড গ্রুপ–এর প্রযোজনায় এবং টুয়েলভ ক্লোদিংয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এই ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগটি আয়োজন করে।এই বছর ২৩টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়। আয়োজনটিতে অংশ নেন দেশের শীর্ষ সি-সুইট নির্বাহী, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা এবং আর্থিক ও বিনিয়োগ খাতের বিশেষজ্ঞরা।অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “একটি দেশের শক্তি নির্ভর করে তার নেতৃত্বের মানের ওপর। আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যা ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বে বৃহত্তর দায়িত্বকে অনুধাবন করে উদ্দেশ্যনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এবং সততা ধরে রেখে প্রতিষ্ঠান ও দেশের উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিতে পারবে। সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড শুধু সম্মাননা নয়, এটি করপোরেট নেতৃত্বের মানোন্নয়নের জন্য একটি প্রয়োজনীয় আহ্বান।”এই বছর সম্মাননাটির জন্য ৫১টি প্রতিষ্ঠান হতে ১০২টি মনোনয়ন জমা পড়ে। একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও উচ্চ মান সম্পন্ন মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে একটি কঠোর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের বাছাই করা হয়েছে। বাছাই প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছে একটি বিশেষায়িত কাউন্সিল বোর্ড। কাউন্সিল বোর্ডে সদস্য হিসেবে ছিলেন দেশের ব্যবসায়িক খাতের অভিজ্ঞ ও স্বনামধন্য পেশাজীবীরা।তাঁরা হলেন- আশরাফ বিন তাজ, ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি বাংলাদেশ পিএলসি-এর কো ফাউন্ডার অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর; প্রফেসর ইমরান রহমান, স্কুল অব বিজনেস, ইউল্যাব; মোহাম্মদ নাকিব উদ্দিন খান, কান্ট্রি হেড অ্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি; ডক্টর এ কে এনামুল হক, ডিরেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ; এবং এম জুলফিকার হুসাইন, সিইও অ্যান্ড লিড কনসালট্যান্ট, গ্রো এন এক্সেল। এই কাউন্সিল বোর্ডের দক্ষ ও নিরপেক্ষ বিচারের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হয়েছে।দিনের শুরুতে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় নবম লিডারশিপ সামিট, প্রতিপাদ্য ছিল ‘রেজিলিয়েন্ট লিডারশিপ - থ্রাইভিং অ্যামিড আনসার্টেনটি’। দেশের শীর্ষ সি–সুইট নির্বাহী, ব্যবসায়িক পেশাজীবী, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক শিক্ষাবিদ ও বিনিয়োগ ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা এই আয়োজনে আলোচক হিসেবে অংশ নেন।দিনব্যাপী সামিটের আলোচনা গুলো অনুষ্ঠিত হয় ৩টি কি-নোট সেশন, ৩টি প্যানেল ডিসকাশন এবং ১টি ইনসাইট সেশনের সমন্বয়ে।কি-নোট আলোচনায় অধ্যাপক এ কে এনামুল হক টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক ও আর্থিক ভিত্তি নিয়ে বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। এরপর ইউসুকে তাচিকাওয়া, ফাউন্ডার অ্যান্ড ডিজাইন স্ট্র্যাটেজিস্ট, নসাইনার; প্রফেসর, কেইও ইউনিভার্সিটি আলোচনা করেন কীভাবে সৃজনশীল নেতৃত্ব শুধু সংকট মোকাবিলা নয়, বরং রেজিলিয়েন্স তৈরি করে ভবিষ্যতকে শক্ত ভিত্তি দিতে পারে। শেষ কিনোট সেশনে প্রফেসর অ্যান্ড্রু কার্ল ডেলিয়স, প্রোভোস্ট’স চেয়ার অ্যান্ড ভাইস ডিন, বিজনেস স্কুল, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিকবাস্তবতায় উদীয়মান অর্থনীতির জন্য কোন ধরনের নেতৃত্ব কার্যকর হতে পারে, সে বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেন।প্যানেল ও ইনসাইট আলোচনায় উঠে আসে-আর্থিক শৃঙ্খলা, অস্থির সময়ে নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য দৃঢ় সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার বিভিন্ন প্রকল্প ও ব্যবহারিক দিকসমূহ। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল করপোরেট একাউন্টেবিলিটি, গভর্নেন্স, ডেটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত, অভ্যন্তরীণ টিম রেজিলিয়েন্স এবং দায়বদ্ধ করপোরেট আচরণ বিষয়ক আলোচনাসমূহ।লিডারশিপ সামিট ও বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ এর পরিবেশনায় ছিল মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, সঞ্চালনায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিট - বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড গ্রুপ। সহযোগিতায় টুয়েলভ ক্লোদিং। অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পার্টনার-টার্কিশ এয়ারলাইনস; নলেজ পার্টনার-মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এমএসবি); ভেন্যু পার্টনার-ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টার; লার্নিং পার্টনার - কাজী কনসালট্যান্টস; পিআর পার্টনার-ব্যাকপেজ পিআর ও একাডেমিক পার্টনার-লিডারশিপ একাডেমি। লিডারশিপ সামিট ও বাংলাদেশ সি–স্যুট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগ।