ভ্যাটিকানের মানব উন্নয়ন মন্ত্রীর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন
                                                             আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন সফররত ভ্যাটিকানমন্ত্রী কার্ডিনাল মাইকেল ফেলিক্স জার্নি। ৩ নভেম্বর সোমবার সফরের মিডিয়া সাব-কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, ভ্যাটিকানের উন্নয়ন মন্ত্রী কার্ডিনাল জার্নি চলমান মানবিক প্রচেষ্টা পর্যবেক্ষণ ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি জানাতে এ পরিদর্শন করেন। রোহিঙ্গা শিবিরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পোপ চতুর্দশ লিওর সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। যাতে ভবিষ্যতে এসব মানবিক সমস্যা সমাধানে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যায়।কার্ডিনালের সঙ্গে ছিলেন তার সেক্রেটারি ফাদার জোসেফ সাভারিমাথু, এশিয়া মেইনল্যান্ডের আঞ্চলিক সমন্বয়ক ফ্রান্সেসকা ডোনা, বাংলাদেশে নিযুক্ত অ্যাপোস্টলিক নুনসিও আর্চবিশপ কেভিন স্টুয়ার্ট র্যান্ডাল, চট্টগ্রামের আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার এবং ন্যায় ও শান্তির জন্য বিশপের কমিশনের চেয়ারম্যান বিশপ জার্ভাস রোজারিও। একই কমিশনের সম্পাদক ফাদার লিটন গোমেজও উপস্থিত ছিলেন। জরুরি সাড়াদান কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক দাউদ জীবন দাস জ্যেষ্ঠ ইআরপি কর্মীদের সঙ্গে প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।পরিদর্শনকালে কার্ডিনাল জার্নি ও প্রতিনিধি দল সরাসরি রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন এবং কারিতাস বাংলাদেশের বাস্তবায়িত নানা মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। তারা সুরক্ষা কর্মসূচির অধীনে ক্যাম্প-৪ এবং ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে এমসিএসি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর প্রতিনিধি দল ক্যাম্প ৪-এর ওয়্যারহাউস-কাম-ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে ওয়াশ বা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত প্রদর্শনী ও কমিউনিটি পরামর্শ সভায় অংশ নেয়। তারা ক্যাম্প ১৯-এ শেল্টার (আশ্রয়) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সেখানে কার্ডিনাল জার্নি ব্যক্তিগতভাবে শরণার্থী পরিবারগুলোর মধ্যে আশ্রয় কার্যক্রমের উন্নত পণ্য বিতরণ করেন। এ ছাড়া, কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন এবং সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রার্থনায় অংশ নেন।পরিদর্শন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কার্ডিনাল জার্নি বলেন, শিবিরে আমার অভিজ্ঞতা দেখায় যে, মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার গভীর আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। কারিতাস যে বিভিন্ন কার্যক্রম স্পন্সর করছে, তাতে আমি খুব খুশি। কারণ, তারা ক্রমাগত মানুষকে সমর্থন করে চলেছে। তাদের একটি আশাবাদী ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধর্মভিত্তিক সংস্থাগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, অর্থায়ন হ্রাস ও বিশ্বের কম মনোযোগের কারণে পরিস্থিতি খুবই কঠিন। বিশ্বের কম নয়, আরও বেশি সংহতি দেখানো উচিত। কার্ডিনাল জার্নি বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে এখানে থাকতে পেরে এবং তাদের শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা প্রত্যক্ষ করতে পেরে খুব খুশি। আমি প্রার্থনা করি এবং আশা করি, একদিন তারা নিরাপদে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারবে এবং শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারবে।