• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৩শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ০৯:০৮:৩৭ (07-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

জব্দ হওয়া জাটকা বিতরণের আগেই লুট

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে জব্দ হওয়া প্রায় দেড় হাজার কেজি জাটকা ইলিশ মাছ বিতরণের আগেই লুট হয়ে গেছে।৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে আমতলী থানা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। যা আমতলীসহ পুরো বরগুনা জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।বৃহস্পতিবার সকালে নৌ-বাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে ১,৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। বর্তমানে জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও বরগুনা, তালতলী ও কলাপাড়ার কিছু অসাধু জেলে নিয়ম অমান্য করে মাছ শিকার করছিলো।যৌথবাহিনী চারটি গাড়িতে করে পাচারকালে মাছগুলো জব্দ করে বিতরণের জন্য আমতলী থানা চত্বরে নিয়ে আসে।দুপুরের দিকে জব্দকৃত মাছ স্থানীয় ৫০টি এতিমখানায় বিতরণের প্রস্তুতি চলছিল। এমন সময় হঠাৎ প্রায় শতাধিক লোক থানা প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে এবং অবশিষ্ট সমস্ত মাছ ভাগাভাগি করে লুট করে নিয়ে যায়।ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই থানার অভ্যন্তরে পুলিশের উপস্থিতিতে এমন লুটের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই এই লুটপাট হয়েছে, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের মতে, উপজেলা প্রশাসন যদি সঠিকভাবে মাছ বণ্টন করত, তবে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো না।আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণে ছিলাম। ১,৫০০ কেজি জাটকা ৫০টি এতিমখানায় বিতরণের সময় শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে মাছ লুট করে নেয়।’আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জব্দকৃত অর্ধেক মাছ বিতরণ করা গেছে। বাকি অর্ধেক মানুষ নিয়ে গেছে। আমি ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।’আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেছেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। যখন ঘটনা ঘটে তখন গ্রাম আদালতের ট্রেনিং প্রোগ্রামে ছিলাম। তবে এমন কিছু ঘটে থাকলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’