• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২২শে কার্তিক ১৪৩২ বিকাল ০৫:০১:১৫ (06-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

গ্রামীণফোনের এআই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)–ভিত্তিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ফিউচারমেকার্স-এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের আয়োজনে ৫ নভেম্বর বুধবার রাজধানীর এক হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।ফিউচারমেকার্স দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের এআই-ভিত্তিক আইডিয়া প্রতিযোগিতা, যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে। উদ্যোগটির লক্ষ্য তরুণ মেধাবীদের প্রযুক্তি-নির্ভর এমন সমাধান উদ্ভাবনে উৎসাহিত করা, যা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করবে এবং একটি স্মার্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রাখবে।চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ওয়াটারমেলন, তাদের প্রকল্প ‘ইশারা: বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর’-এর জন্য। প্রথম রানার-আপ হয়েছে টিম ওপিয়ন, তাদের প্রকল্প ‘এআই-ড্রিভেন নিউজ ক্রেডিবিলিটি প্ল্যাটফর্ম’। যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে টিম সিন্যাপজ তাদের ‘এআই ইনক্লুশন ফর ডিফারেন্টলি-এবলড লার্নারস’ প্রকল্প এবং টিম লাস্তা তাদের ‘দিশা: ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন থ্রো এআই’ প্রকল্পের জন্য।বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশীদ, এবং চিফ ইনফরমেশন অফিসার ড. নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন। এ সময় গ্রামীণফোনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমরা যখন এআই-নির্ভর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন তরুণ প্রজন্মকে সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মানসিকতা অর্জনে সহায়তা করাটাই মূল লক্ষ্য। ফিউচারমেকার্স-এর মাধ্যমে আমরা এমন তরুণ উদ্ভাবকদের গড়ে তুলতে চাই, যারা ভবিষ্যতের কর্মশক্তিকে নেতৃত্ব দেবে এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।’চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গঠনে তরুণ উদ্ভাবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফিউচারমেকার্স সেই অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন, যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান, সৃজন ও নেতৃত্বে তরুণদের অনুপ্রাণিত করা হয়।’বিজয়ীরা প্রাইজমানির পাশাপাশি গ্রামীণফোনের বিভিন্ন ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম–এ অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এছাড়া তারা বাস্তব উদ্ভাবনী পরিবেশে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন, যা ভবিষ্যতে তাদের প্রযুক্তি খাতের নেতৃত্বে এগিয়ে দেবে।২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। প্রাথমিক বাছাই পর্ব শেষে নির্বাচিত দলগুলো তাদের এআই-ভিত্তিক ধারণা উপস্থাপন করে বিচারকদের সামনে। মৌলিকতা, বাস্তবায়নযোগ্যতা, সামাজিক প্রভাব ও বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে এআই-এর প্রয়োগ—এই মানদণ্ডে ধারণাগুলো মূল্যায়ন করা হয়।গ্রামীণফোন প্রযুক্তি ও এআই-এর মাধ্যমে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও তরুণদের ক্ষমতায়নে যে অঙ্গীকারবদ্ধ, ফিউচারমেকার্স প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তা আরও একবার প্রমাণ করেছে। এই উদ্যোগ তরুণদের উৎসাহিত করেছে নৈতিক, উদ্ভাবনী ও দায়িত্বশীল উপায়ে এআই ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রাখতে।