• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২০শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ১০:৫১:১০ (04-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ক্যান্সার আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: একমাত্র ছেলে ইমরান মিয়া (১১) ক্যান্সারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। চোখের সামনে সন্তানের এমন করুণ পরিণতি দেখেও কিছুই করতে পারছেন না পিতা ইয়াকুব মিয়া। সেলুনকর্মী এই দরিদ্র পিতার যা কিছু সঞ্চয় ছিল, সবটাই ছেলের চিকিৎসায় নিঃশেষ।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইমরানের জীবন বাঁচাতে আরও প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু ইয়াকুব মিয়ার পক্ষে এই বিপুল অর্থ জোগাড় করা অসম্ভব।ইয়াকুব মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর পশ্চিমপাড়ায়। তার ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। অসুস্থ ইমরান বিছানায় শুয়ে আছে। শরীরটা অনেকটা শুকিয়ে গেছে, বুকের হাড় যেন বেরিয়ে আসছে। চোখ দুটো মেলে সে কেবল উপরের দিকে তাকিয়ে থাকে।আক্ষেপ করে ইয়াকুব মিয়া বলেন, দেড় মাস আগে একদিন বিকেলে খেলার মাঠ থেকে ফিরে এসে ইমরান পেট ব্যথা করছে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পরেই বমি শুরু হয়। প্রথমে আখাউড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকায় নেওয়া হয়।ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টিউমার ধরা পড়ে। এরপর আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে নিশ্চিত হয় যে, ইমরানের খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কিন্তু চিকিৎসার এই কঠিন পথ পাড়ি দিতেই অর্থের অভাবে তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।প্রতিবেশী আলফাজ উদ্দিন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ইমরানকে দেখতাম স্কুলে যেত, পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করতো। হঠাৎ তার ক্যান্সার হয়েছে শুনে খুব খারাপ লাগছে। তার বাবা যতটুকু পেরেছে চিকিৎসা করেছে। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ, সবাই একটু সহযোগিতা করুন।দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুছা মিয়া জানান, ইয়াকুব মিয়া আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে একটা সেলুনে কাজ করে। আর্থিকভাবে খুবই অসচ্ছল। সবার একটু সহযোগিতায় হয়তো তার ছেলেটি সুস্থ্য জীবন ফিরে পেতে পারে।’আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান এই রোগের জটিলতা সম্পর্কে বলেন, খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হলে খাবার গ্রহণে অসুবিধা হয়, বমি হয় এবং ধীরে ধীরে ওজন কমে যায়। এটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। তবে যথাযথ চিকিৎসা পেলে আরোগ্যের সম্ভাবনা থাকে।