স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১১ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস ও ৮৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেই সিরিজটাও ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দল। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট জয় ইংল্যান্ডের জন্য সোনার হরিণ। এবারও টানা তিন টেস্ট হেরে আগেই সিরিজ হেরে বসেছে ইংলিশরা। তবে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে সফরকারীরা পেল বড়দিনের উপহার। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ায় জয়খরা কাটল ইংল্যান্ডের।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের মীমাংসা হলো মাত্র ২ দিনের মাথায়। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড। অজিদের দেয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ইংলিশরা জয় পেয়েছে ৪ উইকেটে।


অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। এই দীর্ঘ সময়ে টানা ১৮টি টেস্ট জয়হীন থেকেছে ইংলিশরা। এর মধ্যে ১৬টি টেস্টেই হারের মুখ দেখেছে তারা।
২০১০-১১ মৌসুমে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জয় করে ইংল্যান্ড। এরপর টানা চার সিরিজে হারের মুখ দেখেছে তারা। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ২০১৭-১৮ ও ২০২১-২২ মৌসুমে ৪-০ ব্যবধানে হারে। দুই সিরিজেই একটি করে ম্যাচে ড্র করে ইংলিশরা। এবারের অ্যাশেজেও প্রথম তিন টেস্টেই হার দেখেছে বেন স্টোকসের দল।
মেলবোর্নে প্রথম দিনে ২০ উইকেটের পতনের পর শেষ বিকেলে ফের ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। বিনা উইকেটে ৪ রান দিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা অজিরা এদিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানের দেখা পান। অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩২ রানে।
ট্রাভিস হেড সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। স্টিভেন স্মিথ ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ক্যামেরন গ্রিন করেন ১৯ রান।
ব্রেয়ডন কার্স ৪টি, বেন স্টোকস ৩টি উইকেট শিকার করে অজিদের গুঁড়িয়ে দেন। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করা জশ টাং এদিন আরও ২ উইকেট শিকার করেন। গুস অ্যাটকিনসন নেন একটি উইকেট।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available