গাজীপুর (উত্তর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জাসাস নেতা ফরিদ সরকার (৪১) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে গোসিংগা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের কেবিএম ইট ভাটায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদ সরকার পার্শ্ববর্তী নারায়নপুর গ্রামের জামাল সরকারের ছেলে। তিনি গোসিংগা ইউনিয়ন জাসাসের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।


নিহতের পিতা জামাল সরকার জানান, মঙ্গলবার রাতে তার ছেলে ভাত খাচ্ছিলো। তখন একটা ফোন আসে। পরে সে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। ভোর রাতে সবুজ মেম্বার ফোন করে বলে ফরিদ এক্সিডেন করেছে। আমরা কেবিএম ইটখোলা থেকে তার রক্তাক্ত দেহ শ্রীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। এসময় তার ডান হাতের কবজি কাটা ছিল। মাথা ফেটে রক্ত ঝড়ছিল। পরে তাকে শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের মা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, আমার ছেলে ইট খোলায় মাটি ও বালি দিত। রাতে তাকে ফোন করে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তারাই তাকে মেরে ফেলেছে। কী দোষ ছিল তার। আমার নাতি টাকে এতিম করে দিল। ওরা কেন আমার ছেলেকে মেরে ফেলল? আমি এর কঠিন বিচার চাই।
নিহত ফরিদের ফুপাতো ভাই মাসুদ জানান, ফরিদ ১৫/১৬ বছর জর্দানে ছিল। ৫ আগস্টের পরে দেশে ফিরে আসে। সে জাসাসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। মাটি ও বালির ব্যবসা করতো। জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছাড়া তার কোনো শত্রু ছিল না। শুনেছি মৃত্যুর পূর্বে অনেকের নাম বলে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইট খোলার শ্রমিক জাকির ও মিনারুল জানায়, রাত ২টার দিকে ফরিদ ও আরেকটা লোক এখানে এসে আগুন পোহাতে থাকে। ৩টার দিকে রাম দা ছুড়ি নিয়ে ৫/৭ জন লোক প্রবেশ করে তাদের ভয়ভীতি দেখালে তারা ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। এসময় ডাক চিৎকার শুনলেও তারা ভয়ে বের হয়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমেদ জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেক ক্লু পেয়েছি তদন্তের স্বার্থে এখন প্রকাশ করা যাবে না। মরদেহ শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্তের পর অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available