অনলাইন ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথ সুগম করতে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি।

১৭ ডিসেম্বর বুধবার লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে আনিস আলমগীর ও আরও চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করার পর ১৫ ডিসেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাকে আটক করা হয়।


সংগঠনটির আঞ্চলিক গবেষক রিহাব মাহমুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন রয়েছে— এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের নিশানা করার যে উদ্বেগজনক প্রবণতা চলছে, তারই ধারাবাহিকতা। নিজস্ব অভিমত বা মতামত প্রকাশকারীদের কণ্ঠরোধ করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে বরং অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বাক্স্বাধীনতা এবং সংগঠন করার স্বাধীনতার পথ সুগম করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
রিহাব মাহমুর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার–সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাকে সম্মান জানাতে হবে এবং অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের একটি জিম থেকে বের হওয়ার পর আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবির কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হয় তাকে। আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৫ দিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন— অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ (উপস্থাপক)।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available