জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেছেন, জকসু নির্বাচন নিয়ে কোন দল কোন গোষ্ঠী বা সরকারের মহল থেকে কোন প্রকার কোন চাপ বা নির্দেশনা নেই। সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে সুন্দরভাবে জকসু নির্বাচন শেষ করবো আমরা।

৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। উপাচার্য বলেন, জকসুতে সকলের অংশগ্রহণ থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই জকসু উপভোগ করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমেই জকসুতে প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবে। এবং তারা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করবে।


উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান যে পরিবেশ তা যদি বজায় থাকে তাহলে প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসে নিয়মিতভাবে জকসু নির্বাচন করার চেষ্টা করব। এটা হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অন্যান্য নজির স্থাপন হবে। আমরা চাই প্রতিবছরই জকসু নির্বাচন হোক। এটি করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু এটা করাটা কঠিন। এটা করতে পারলে আমি খুশী হতাম।
জকসুর তহবিল ও খরচের খাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জকসুতে খরচের জন্য আমাদের নির্দিষ্ট কোন বাজেট নেই এখনো পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের থেকেই জকসুতে খরচ করা হবে। রেভিনিউ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই খরচ সমন্বয় করবে। এছাড়া ইউজির রিভাইস বাজেটে এই খরচ সমন্বয় করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা থেকে জকসুর জন্য একটা ফান্ড রাখা হবে। প্রয়োজনীয় বাকি খরচ গুলোর বিষয়ে ফিন্যান্সিয়াল কমিটি থেকে প্রস্তাবনা ও পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জকসুর তফসিল ও ভোট গ্রহণের তারিখের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোন চিন্তা করছেন কিনা এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা সভায় ছাত্রনেতাদের ১০ ডিসেম্বরে নির্বাচনের খসড়া তফসিল দেখায় সেখানে তারা নির্বাচনী প্রচারণায় সময় চায়। কয়েক পক্ষ নির্বাচন পিছিয়েও দিতে বলে তাদের কার্যক্রমের সুবিধার কারণে। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে প্রয়োজনীয় সময় রেখে ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি শিডিউল করা হয়েছে। যেই তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন এটাই সব থেকে উপযুক্ত তফসিল।
এর আগে গত বুধবার তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান তফসিল বিবরণীতে বলেন, ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ৯ ও ১১ নভেম্বর। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ বুধবার ১২ নভেম্বর , এছাড়া ১৩নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর মনোনয়ন বিতরণ চলবে। এবং ১৭ ও ১৮ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। মনোনয়ন পত্র বাছাই করে ১৯ ও ২০ নভেম্বর সম্পন্ন করে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ নভেম্বর রবিবার। পরবর্তীতে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি ২৪ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর। এছাড়া প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হবে ২৭ ও ৩০ নভেম্বর। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর বুধবার। এরপর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাখ্যানকৃত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৯ ডিসেম্বর। এবং প্রার্থীদের প্রচারণা ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর। সবশেষে ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ ও ২২-২৩ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available